আরফাতুল মজিদ:

কক্সবাজারের কলাতলী সী-ইন পয়েন্টে প্রায় ৫০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি দখলমুক্ত করলো প্রশাসন। একমাস আগে থেকেই একটি চক্র গভীররাতে প্রায় ১০০ শতক জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে। সোমবার সকাল ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পর্যটন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. সাইফুল ইসলাম জয়ের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে উক্ত জমি দখলমুক্ত করা হয়। এসময় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের নেতৃত্বকারী নুর মোহাম্মদ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।

সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, সী-ইন পয়েন্টের পাশে প্রায় ১০০ শতক সরকারি জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছে একটি চক্র। গত একমাস ধরে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। জায়গার চারপাশে বাঁশের বেড়া ও পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। এসবের আড়ালে ইটের স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। সোমবার সকালে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

তিনি বলেন, একটি চক্র প্রশাসন ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে জমি দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে। তবে এখনো জড়িতদের সঠিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কারা এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে জড়িত তাদের সঠিক পরিচয় বের করা হবে। পরিচয় পাওয়া গেলেই আইনের আওতায় আনা হবে তাগের। এছাড়া ১০০ শতক জমিটি স্থায়ীভাবে রক্ষা করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় একটি চক্র গত একমাস ধরে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু এই একমাসেই বন বিভাগ ও এসিল্যান্ড কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করেছিল। তারা উচ্ছেদ করার পরপরেই ফের দখলে নেন চক্রটি। এতোমধ্যে ওই জায়গায় বনবিভাগের প্রায় ১০টি মতো ঝাউগাছও কেটে সাবাড় করা হয়েছে।

এবিষয়ে কক্সবাজার দক্ষিন বনবিভাগের কক্সবাজার সদর রেঞ্জ অফিসার হারুন অর রশিদ বলেন, এতোমধ্যে বনবিভাগ দুই বার অভিযান পরিচালনা করে সী-ইন পয়েন্টের ওই জায়গায়। তারমধ্যে গত একসপ্তাহ আগেই উচ্ছেদ করে কাটা তাঁরের বেড়া দেয়া হয়েছিল। কিন্তু দখলকারীরা তা তোয়াক্কা করে না। সর্বশেষ দুই দিন আগেও অভিযান চালিয়ে ৩টি ঝাউগাছ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা গাছ গুলো কেটে পাশের একটি ডোবাতে ফেলে রাখে। ওখান থেকেই গাছ গুলো উদ্ধার করা হয়। এবিষয়ে অবৈধ দখলকারী ও গাছ কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে বলে তিনি জানান।